গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হজরত আলী (৫০), হাফিজার রহমান (৩৬) ও আজিজল হোসেন (৩১)।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আরও তিন আসামিকে বেকসুর খালাসও দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে হাফিজার রহমান পলাতক রয়েছেন। অন্য দুইজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেন বিচার চলার সময় মারা গেছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- প্রধান আসামি আবুল হোসেনের স্ত্রী জরিনা বেগম, সাজাপ্রাপ্ত হজরত আলীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম ও সাজাপ্রাপ্ত হাফিজারের স্ত্রী মোর্শেদা আকতার।
আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক মামলার নথির বরাতে জানান, পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হজরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের জমির বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে ওই জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ছেঁড়া তার পেতে রাখা হয়। ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর ওই জমিতে গিয়ে তসলিম উদ্দিন নামে এক শ্রমিক বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাত বোন মর্জিনা খাতুনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়া ওই ঘটনায় আরও চার শ্রমিক দগ্ধ হন।
এ ঘটনায় তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক সুন্দরগঞ্জ থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
তবে আসামিপক্ষ এই রায় মেনে নেয়নি।
আইনজীবী আবুয়ারা মো. সিদ্দিকুর ইসলাম বলেন, ‘মামলার এজাহার ও সাক্ষ্য-প্রমাণে আদালতের সার্বিক পর্যালোচনায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব আমরা।’