পুলিশ জানায়, বুধবার ভোর রাতে মাগুরা শহরের ভায়না এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, মেয়েটির মৃত্যুর মামলায় প্রধান আসামি জামিরুল মাগুরা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।
মেয়েটির মায়ের দায়ের করা মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হলেও চিকিৎসক ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। আর পুলিশ এখনও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পায়নি বলে জানায়।
এই মামলার প্রধান আসমি জামিরুল ইসলাম মৃত এই মেয়েটির বোনের প্রাক্তন স্বামী। এক বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। বোনের আবার বিয়ে হলেও জামিরুল বিয়ে করেননি বলে জানা যায়।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, পহেলা অক্টোবর রাতে নিজ ঘর থেকে মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন তার মা শৈলকুপা থানায় আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ঘটনার রাতে জামিরুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং অন্য আসামিরা তাকে সহায়তা করে। এ কারণে দুঃখ ও অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
ওসি জানান, এই ঘটনায় প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেনি।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, জামিরুলকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এছাড়া আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে বিচারিক হাকিম রফিকুল ইসলাম নাকচ করেন বলেও ওসি জানান।
এদিকে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার সোমবার রাতে বলেছিলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মেলেনি; আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে।