দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা জজ শরীফ উদ্দীন আহমেদ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
নবীউল ইসলাম ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কনস্টেবল ও দিনাজপুর শহরের মাতাসাগর পানুয়াপাড়া এলাকার জাফর আলীর ছেলে।
যাবজ্জীবনের সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে, যা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
“এরপর বিয়ের কথা বলে প্রথমে রংপুরের বদরগঞ্জ এবং পরে ঢাকায় নিয়ে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।”
এই বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করে বলে জানান পিপি তৈয়বা।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের ১৫ মাস পর ২০১৪ সালের ১ অগাস্ট ওই স্কুলছাত্রীকে ঢাকা থেকে নীলফমারীর সৈয়দপুর রেল স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে নবীউল ইসলাম পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা নবীউলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর দাদি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় নবীউল ইসলামসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।