কিশোরগঞ্জে ‘ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা’, একজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে এক স্কুলছাত্রী ‘ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা’ হওয়ার মামলায় সাড়ে তিনমাস পর পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2020, 10:59 AM
Updated : 7 Oct 2020, 10:59 AM

বুধবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাসলিম আক্তার এই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার মুনছুর মিয়া (৫৫) অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের মসজিদজাম সোনারু হাটি গ্রামের প্রয়াত আফিল উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার ভোরে অষ্টগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকা থেকে মুনছুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার আরেক আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।

অষ্টগ্রাম উপজেলার এই মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ জুন তার থানায় মামলা দায়ের করেন। অষ্টগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন।

মামলার বরাত দিয়ে আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে পাশের বাড়ির মুনছুর মিয়া ও শেখ নজরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী টের পেয়ে গেলে ‘দুই ধর্ষণকারী’ পালিয়ে যায়।

“ধর্ষণের শিকার’ ওই ছাত্রী এখন ‘অন্তঃসত্ত্বা’ হয়ে পড়লে ২৫ জুন তার মা বাদী হয়ে মুনছুর মিয়া ও শেখ নজরুল ইসলামের (৪৫) বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

নজরুল একই ইউনিয়নের শেখের হাটি গ্রামের প্রয়াত শেখ মঈন উদ্দিনের ছেলে। মামলা দায়েরের পরপরই এই দুই আসামি পলাতক হন।

মেয়েটির মা বলেন, তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। দারিদ্র্যের কারণে মেয়েকে বাড়ি রেখে তিনি ঢাকায় গুলশান এলাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। মেয়েটি বাড়িতে একা থেকে লেখাপড়া করে।

এই সুযোগে প্রতিবেশী মুনছুর ও সহযোগী নজরুল তার মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে মেয়েটির মায়ের অভিযোগ। 

এদিকে, আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।