বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারী মঙ্গলবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দেলোয়ার এর আগেও দুইবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে এবং দ্বিতীয় বার ধর্ষণ করা হয় গত রমজানের কিছুদিন আগে।
দ্বিতীয় বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার নোয়াখালীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী ধর্ষণের তথ্য দিয়েছেন বলে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর সাংবাদিকদের জানান।
কমিশনের প্যানেল আইনজীবী দিয়ে এ বিষয়ে তারা নির্যাতিতার পক্ষে মামলা দাযেরর পরিকল্পনার কথাও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখলীতে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জে বাসে তল্লাশি চালিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে করে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরে সেদিন রাতেই র্যাব ১১-এর ডিএডি আব্দুল বাশেদ বাদী হয়ে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।