রিফাত হত্যা: শিশু আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।

মনির হোসেন কামাল বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2020, 10:32 AM
Updated : 6 Oct 2020, 10:32 AM

আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক শেষ করেন।

এই হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ জনের বিচার শেষ হয়েছে, যেখানে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ হয়। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার ও মঙ্গলবার আসামিদের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা নারী ও শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে আসামিদের দেওয়ায় ১৬৪ ধারার জবানবন্দির পর্যালোচনামূলক বক্তব্য এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামির সম্পৃক্ততা নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।

আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিষয়ে যুক্তিতর্ক চলছে। তিনি রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আগামীকাল (বুধবার) আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হবে।

তিনি লেন, আগামী ৯ অথবা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হবে বলে তিনি আশা করা হচ্ছে। এরপর আদালত এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবে।

গত বছরের ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, যেখানে বয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে লোকজনের ভিড়ের মধ্যে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক। এ হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। প্রথমে মিন্নিকে এ মামলার প্রথম সাক্ষী করা হলেও পরে পুলিশের হাতে কিছু তথ্য আসার পর তাকে আসামি করা হয়।

সে বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামিদের প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

গত বুধবার দুপুরে মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়ে এ মামলার রায় দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

অন্য ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।