স্থানীয়রা জানান, একছর প্রথম দুই দফা বন্যায় এই স্পারের কংক্রিট অংশের নিচের মাটি সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তৃতীয় দফা বন্যায় নড়বড়ে হয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে।
এতে ভাটিতে থাকা বানিয়াজান, বড়ইতলী, ভান্ডারবাড়ী, ভুতবাড়ী, পুকুরিয়াসহ আরও অনেক গ্রাম যমুনায় বিলীন হয়ে যেতে পারে।
নির্মাণের পর বার বার সংস্কার করেও সবগুলো টিকানো যায়নি। হাসনা পাড়ার স্পার ঠিক থকলেও চন্দন বাইশা, কামালপুর স্পার যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শুধু শহড়াবাড়ী ও বানিয়াজান স্পারের আংশিক থাকলেও হুমকিতে আছে।
বানিয়াজান গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত দুই দফা বন্যায় বানিয়াজান স্পারের কংক্রিট অংশের নিচের মাটি স্রোতে সরে যাওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে। তৃতীয় দফা বন্যায় যমুনার স্রোতে এই স্পার নড়ছে। যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে ভাটিতে থাকা বানিয়াজান, বড়ইতলী, ভান্ডারবাড়ী, ভুতবাড়ী, পুকুরিয়াসহ আরও অনেক গ্রাম যমুনায় বিলীন হয়ে যেতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধুনট সার্কেলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, শহরাবাড়ী স্পারের তিনশ মিটার মাটির ‘স্যাংক’ (মাটির তৈরি বাঁধ) এখন রয়েছে। কংক্রিটের ১৫০ মিটার অনেক আগেই যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি জানান, ২০০১ সালে প্রতিটি স্পার ১১ কোটি টাকায় নির্মাণ হয়। প্রতিবছর সংস্কারে ২০ কোটি টাকার মত খরচ হয়।
হুমায়ন কবির আরও জানান, শহরাবাড়ী ও বানিয়াজান স্পারকে শক্তিশালী করতে দুইশ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ওই কাজ করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর সার্কেলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিক আহাম্মেদ বলেন, হাসনাপাড়া স্পার এখন ঠিক রয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি স্পার রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে কাজ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারিয়াকান্দী সার্কেলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানান, চন্দন বাইশা ও কামালপুরে নির্মিত দুটি স্পার অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে।