সেতু নির্মাণের দুবছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক দুই বছরেও করা হয়নি।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2020, 12:13 PM
Updated : 5 Oct 2020, 12:13 PM

এ কারণে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

জপসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, ভোজেশ্বর বন্দরের সঙ্গে জপসা, নশাসন, রাজনগর, মোক্তারের চর ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মাণ করা সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। এতে অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দদের দুর্ভোগ চরম আবার ধারণ করেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন খান জানান, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর-মহিষখোলা সড়কে ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির কাজ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক না করার কারণে এলাকাবাসী সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।

স্কুল ও কলেজ ছাত্রছাত্রী, কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী কৃষকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে।

ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রব মগদম বলেন, “আমাদের ভোজেশ্বর বাজারে লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য অনেক কষ্ট করে খেয়া পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাজারে আনে। তাদের অনেক ভোগান্তি হয়। ব্রিজটি চালু হলে লাখ লাখ লোকের দুর্ভোগ লাঘব হবে।”

ভোজেশ্বর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল সরদার বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তারই অংশ হিসেবে ভোজেশ্বর-মহিষখোল কীর্তিনাশা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণ করে।

“কিন্তু বড় দঃখের বিষয় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে আমরা সুবিধা পাচ্ছি না।”

জপসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, শত বছরের পুরানো ভোজেশ্বর বন্দরের জন্য কীর্তিনাশা নদীর উপর ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংযোগ সড়ক না থাকায় চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে।

শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান ফরাজী বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের যে সমস্যা ছিল সেটি ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। নতুন প্রযুক্তিতে কাজ হবে। বর্তমানে বন্যার কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজে বিলম্বিত হচ্ছে।