রোববার সকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০১ নম্বরের এই ফ্লাইট ২৩৮ জন যাত্রী নিয়ে ওসমানী থেকে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বলে জানান বিমানের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার।
তিনি জানান, এই রুটে চলতি মাসে দুইটি এবং নভেম্বর মাস থেকে থেকে প্রতি বুধবার একটি করে ফ্লাইট চলবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ চলছে। অচিরেই আমেরিকা কানাডাসহ আন্তর্জাতিক বিমান এ রুটে চলাচল করবে।
এ সময় ভাড়া কমানোসহ যাত্রীদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাসও দেন প্রতিমন্ত্রী।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১১ সালে সিলেট-লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর কিছুদিন পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকা হয়ে এই ফ্লাইট চালু হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারীর আগে বিমান প্রতি সপ্তাহে লন্ডনে চারটি ও ম্যানচেস্টারে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করত। ফিরতি ফ্লাইটগুলো সিলেট হয়ে ঢাকায় এসে সরাসরি যুক্তরাজ্যের এই দুটি রুটে আবার যেত। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে যাত্রী কমে যাওয়ায় ১৬ জুলাইয়ের পর বিমানের লন্ডন ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এক মাস পর ১০ অগাস্ট থেকে ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট চালু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
তবে এই ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করত না। সিলেটের যাত্রীদের বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে ঢাকায় এনে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম করানো হতো।