ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর রোববার এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন।
এছাড়া আরেক আসামিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে ছিলেন।
আইনজীবী হামিদ মামলার নথির বরাতে জানান, ২০০৬ সালের ১ জুন দক্ষিণ রাজাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম ও তার দুই ভাই শাহ আলম ও রশিদুল ইসলাম বাড়ির পাশে জমিতে হাল চাষ করতে যান। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বুলু ও তার লোকজন চাষে বাধা দেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বুলু ও তার লোকজন সিরাজুলকে মারধর করেন। ভাইকে বাঁচাতে শাহ আলম ও তার ছোট ভাই রশিদুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুন কিশোর রশিদুল ইসলাম মারা যায়।
এ ঘটনায় সিরাজুল বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত শেষে তৎকালীন সদর থানার এসআই আদিল হোসেন ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী হামিদ বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত শহিদুল ইসলাম বুলুকে যাবজ্জীবন আর বাহাদুর আলীকে ছয় মাসের কারাদষ্ড দিয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছে।