বৃহস্পতিবার নলডাঙ্গা শহীদ মিনারের সামনের সড়কে আবুল কাশেমকে ওই পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার সপক্ষের সাধারণ জনগণ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আবুল কাশেম মন্ডল গাইবান্ধা বামনডাঙ্গার চার পুলিশ হত্যাসহ ‘একাধিক নাশকতার’ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনমথ কাঠগড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত তরিকুল ইসলাম নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন।
দুপুর ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানবন্ধনের সময় সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার বলেন, “নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কাশেম মন্ডল গাইবান্ধার বামনডাঙ্গার চার পুলিশ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্যতম আসামি। শুধু তাই নয় জামায়াত নেতা আবুল কাশেম মন্ডল একাধিক নাশকতা মামলারও চার্জশিটভুক্ত আসামি।
“তারপরও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন ওই কলেজের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপককে ডিঙিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে এই জামাত নেতা প্রভাষক আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।”
এ সভায় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সরকার অবিলম্বে আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দিলে ‘বৃহত্তর আন্দোলনের’ ডাক দেওয়ার হুমকি দেন।
তবে পুলিশ হত্যা মামালা প্রসঙ্গে নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া আবুল কাশেম মন্ডল জানান, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই পুলিশ হত্যা এবং নাশকতার মামলায় জড়ানো হয়েছে।
কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়নের ফোর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মানবন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার জিল্লুর রহমান ও মোজাহারুল ইসলাম, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল ও অন্যরা।