মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ওবাইন রাখাইন।
র্যাবের সিপিসি-৩ এর লেফটেনেন্ট কমান্ডার ফয়সল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের সিপিসি-৩ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে র্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এ নিয়ে এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম ও তারেক আহমদকে বুধবার আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওসি।
গত রোববার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা তিনজনকেও আসামি করেন তিনি।