বাগেরহাটে পিবিআইয়ের ‘হেফাজতে’ কলেজছাত্রের মৃত্যু

বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ‘হেফাজতে’ হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 12:49 PM
Updated : 29 Sept 2020, 01:30 PM

তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত পিবিআই বাগেরহাট কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি।

নিহত রাজা ফকির (২০) শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নে মাজারের দিঘির পূর্বপাড়ের আল মর্তুজা ফকির ওরফে বাবু ফকিরের ছেলে তিনি।

নিহতের বাবার দাবি, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে’ তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ওই তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পিবিআইয়ের সদস্যরা।

“সে সময় দায়িত্বরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত পান।”

নিয়ে আসা পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসককে জানিয়ে ছিল হঠাৎ অসুস্থ হলে ওই তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলেন তিনি।

রাতেই মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মাজার মোড় এলাকায় তামিম মল্লিক নামে এক তরুণ ছুরিকাঘাতে খুন হয়।মাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যে তরুণকে দেখা গেছে সেই তরুণ এই রাজা ফকির বলে শনাক্ত হয়।

ঘটনার পরদিন নিহতের পরিবার রাজা ফকিরকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করে। ঘটনার পর থেকে রাজা ফকির এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় এ মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসে।

সে সময় রাজার বাবা বাবু ফকির সাংবাদিকদের বলেন,“আমার ছেলে তো ছুরি মারছে। ওই হত্যার সাথে সে জড়িত ভিডিওতে তা প্রমাণিত। তাকে ধরে আনা হল। আদালত তার বিচার করত। নির্যাতন করে কেন তাকে মেরে ফেলা হল?

তার অভিযোগ, পটুয়াখালীতে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরে আনার পথে রাজার ওপর নির্যাতন করা হয়।বাগেরহাটে এসেও রাজার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

“বাদী পক্ষের সহায়তায় পুলিশ আমার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।”

নিহত রাজার ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।