সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।আগের মধ্যরাতে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে প্রথমে আটক করা হয়।
আটকের পর পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো জুনায়েদ (২৪) দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার আবদুল আউয়ালের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, তরুণীকে যৌন নিপীড়নে 'মূল অভিযুক্ত' রহিমের বন্ধু জুনায়েদ।
“যৌন নিপীড়নের সময় জুনায়েদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ ঘটনায় জড়িত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবার নাম বলেছেন। শাকিল নামে তাদের আরেক বন্ধু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ভিডিওধারণ করে।”
তিনি জানান, তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেছে। ওই মামলায় জুনায়েদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেইসবুক ভিত্তিক সংগঠন 'আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া'র পেইজে এক তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ভিডিওচিত্র পোস্ট করা হয়। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের পুনিয়াউট এলাকায় কাশবনে ঘুরতে যাওয়া এক তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করছেন রহিমসহ কয়েকজন তরুণ। ওই তরুণী তাদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও তাদের মন গলেনি। উল্টো তারা তরুণীর বোরকা খোলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তরুণীর মুখে চুমু খায় রহিম।