সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টিএম মুসা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আসাদুজ্জামান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান খাঁ যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামের আবুল কাশেম খাঁর ছেলে।
এ মামলার অপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে বিচারক।
২০১৭ সালে সালতা গ্রামের শহর আলী শেখের মেজ মেয়ে বাক-প্রতিবন্ধী রত্নাকে (১৮) ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় এ রায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৭ সালের ২৮ মে দুপুর ১২টার দিকে সালতা গ্রামের হাবিবুর রহমান খাঁ ও ইশারত আলীর ছেলে মন্টু বাড়ি থেকে রত্নাকে ডেকে নিয়ে যান।
গ্রামের বুড়ো মার জঙ্গলের কাছে গেলে তাদের দেখতে পান ওসমানপুর গ্রামের জহর আলী শেখের ছেলে খায়রুল শেখ। কিন্তু এরপর রত্না আর ফিরে না আসায় খায়রুল শেখসহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি তার বাবা শহর আলী শেখকে জানান।
এর তিনদিন পর ৩১ মে গ্রামের মেজের মোল্যার কবরস্থানে রত্নার লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় ফুলবাড়ি ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শহর আলী শেখ ১৪ জুন হাবিবুর রহমান খাঁ ও মন্টুকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের আদেশে সে বছরের ২ জুলাই কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে সেটিকে নথিভুক্ত করা হয়।
এরপর তদন্ত শেষে এজাহারে উল্লিখিত দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।