জোয়ারের পানি বা ভারি বৃষ্টিপাতে নগরীর গোরস্থান রোড, কলেজ রো, করিম কুটির, পলাশপুর, স্টেডিয়াম কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় পানি নামতেও সময় লাগে ৪ থেকে ৫দিন।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হয় নগরীর বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ ‘নবগ্রাম’ সড়কে; এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।
পথচারী ইসরাত জাহান বলেন, “জলাদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়, যানবাহন পাওয়া না গেলে। তখন হাটু পর্যন্ত পানিতে ভিজেই গন্তব্যে যেতে হয়।
এদিয়ে এ ভোগান্তির জন্য খাল ও পুকুর ভরাটকে দায়ী করছেন পরিবেশবাদীরা।
বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এনায়েত হোসেন বলেন, নগরীর ও এর আশেপাশে ২৩টি প্রধান ও ২৪টি শাখা সহ ৪৭ খাল ছিল। বর্তমানে ২/৩ ছাড়া বাকিগুলোর অস্তিত্ব নেই।
তিনি বলেন, “ঢাকঢোল পিটিয়ে খাল উদ্ধারে নেমেছিল জেলা প্রশাসন; খালের সীমানাও নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে রহস্যজনক কারণে এখন আবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে।”
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধারের বিকল্প নেই বলে জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম।
এদিকে খাল দখলদারমুক্ত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, খাল অবৈধ দখল মুক্ত করা জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কাজের অংশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অভিযান কিছু দিন বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুতই আবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, “বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। গত দিনে যারা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন তারা মাস্টার প্লান ছাড়াই ড্রেন নির্মাণ করেছেন; একটি ড্রেনের সাথে অন্যটির সংযোগ নেই। তাই বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি নামতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়।”
তিনি বলেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুকুর ও খাল পুর্নখনন করতে হবে।