রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে তিনি জবাববন্দি দেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আদালতের সহকারী কমিশনার প্রসিকিউশন অমূল্য কুমার।
তিনি জানান, দুপুরে পুলিশ ওই তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে আদালতে নিয়ে আসে।
“দুপুর দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত ২২ ধারায় তার জবানববন্দি লিবিবদ্ধ করে।”
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন।
“এ সময় ৬ থেকে ৭ জন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় ধর্ষণ করে।”
এ সময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণীর শারিরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসাপাতালে উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, গাইনি বিভাগের এক অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে। তিনি শারিরিকভাবে অনেকটা সুস্থ রয়েছেন।
শনিবার সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।