ঘর পাচ্ছেন টাঙ্গাইলের সেই বাসন্তী

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগ কলাক্ষেত কেটে ফেলায় নিঃস্ব হয়ে পড়া বাসন্তী রেমা নামে সেই গারো নারীকে পাকা ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2020, 04:30 PM
Updated : 26 Sept 2020, 04:30 PM

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, মধুপুর বন বিভাগের দোখলা বাংলোয় গত বৃহস্পতিবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও গারো সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকে গারো আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুর বনের জমি উদ্ধারের নামে গারোদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে বন বিভাগের বিরুদ্ধে।

সে সময় শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে দরিদ্র বাসন্তী রেমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কলাবাগানটি কেটে ফেলে বন বিভাগ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গারো সম্প্রদায়ের লোকজন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বনভূমি উদ্ধার অভিযান আটকে যায়।

তবে বন বিভাগ বলছে, বন বিভাগের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জবরদখল হওয়া বনভূমি দখলমুক্ত করার কাজে নেমেছিল তারা।

ইউএনও আরিফা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তহবিল থেকে বাসন্তীকে একটি ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বন বিভাগের কোনো উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হলে গারোদের সঙ্গে আলোচনার পর তা করতে হবে। বংশপরম্পরায় দখলে থাকা জমিতে বাসন্তী রেমা চাষাবাদ করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।”

টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জামিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, শোলাকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক হেরিদ সাংমা সভায় ছিলেন।