ভোগান্তির শেষ নেই শিমুলিয়ায়

নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলচল বিঘ্ন হওয়ায় এমনিতেই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিমুলিয়া ঘাট ব্যবহারকারীরা, তার উপর শুক্রবার এ পথে যাত্রীর চাপ বাড়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2020, 09:47 AM
Updated : 25 Sept 2020, 09:47 AM

শুক্রবার সকাল থেকে ঘাটে প্রায় দুইশ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  জানান।

তিনি বলেন, “প্রায় ২৮ দিন ধরে শিমলিয়া-কাঁঠাল বাড়ি পথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঘাটে গাড়ির চাপ কমে গিয়েছিল। কিন্তু সকাল থেকে এ ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে; যার মধ্যে প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি। আজকে ছয়টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।”” 

এদিকে দিনের পর দিন ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপাররা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দিনের বেলায় সীমিত ফেরি চলাচলে মধ্যে প্রাইভেট গাড়ি পারাপারকে প্রাধান্য দেওয়ায় ট্রাক নিয়ে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে তাদের।

এদিকে ট্রাকগুলো যথাসময়ে পার হতে না পারায় সংশ্লিষ্টরা আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়ছেন বলে জানান সফিকুল।

তিনি বলেন, ““প্রাইভেটকার বা বাস রেখে স্পিডবোট বা লঞ্চে যাত্রীরা পদ্মা পার হলেও পণ্যবাহী যানগুলোর অপেক্ষা ছাড়া কোন উপায় নেই। চ্যানেলে নাব্য ফিরলেই সঙ্কট কাটবে। চলতি মাসের ১২দিনই ফেরি বন্ধ ছিল। বাকি ১৩ দিনে মাত্র ৪০০ ট্রাক পার হয়েছে।”

ট্রাক চালক মোহাম্মদ আশরাফ জানালেন চারদিন ধরে শিমুলিয়া ঘাটে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করছেন ফেরির জন্য।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জ থেকে মশার কয়েল ও সার্ফ এক্সেল নিয়ে রওনা হয়েছিলেন মাদারীপুরে। ঘাট পার হলেই মাদারীপুর দূরে নয়; কিন্তু  এখন তীরে এসে তরী ডোবার মত অবস্থা।

ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটনায় আশরাফের মত শত শত পণ্যবাহী ট্রাকের চালক কভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের চালক দিনের পর দিন শিমুলিয়ায় আটকে রয়েছেন।