আইটি খাতে নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য সরকারের: পলক

আইটি খাতে আগামী পাঁচ বছরে নতুন করে ১০ লাখ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2020, 06:58 PM
Updated : 24 Sept 2020, 06:58 PM

নীলফামারীতে হাইটেক পার্কের জন্য ১৫ একর আর শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাবিত দুই একর জায়গা পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পলক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে নতুন করে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর আইটি খাতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশ থেকে বেরিয়ে এসে মেধানির্ভর ডিজিটাল ইকোনমির দেশে পরিণত করতে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীলফামারীসহ দেশের ৬৪ জেলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হাইটেক পার্ক স্থাপনে আন্তরিক। আমাদের একটি উন্নত দেশ গড়তে বিশ্বের যে চাহিদা তা পূরণ করতে প্রযুক্তিতে জ্ঞানসম্পন্ন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।

“গত ১১ বছরে ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল গেছে। শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব থেকে প্রযুক্তিতে শিক্ষা গ্রহণ করেছে আমাদের ছেলেমেয়েরা। ফলে আজ সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক অনলাইন কর্মীর দেশ বাংলাদেশ।”

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দুই হাজার ফ্রিল্যান্সারকে অনলাইন মার্কেট প্লেসে সম্পৃক্ত করে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য দেশের ৬৪ জেলায় ৩৫  থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করা হবে। সেখানে সারাদেশে দুই হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এক হাজার বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বর্তমানে দেশে সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার যারা অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করছেন। তারা শত শত মিলয়ন ডলার আয় করছেন। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় দুই শতাধিক ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। আমাদের টার্গেট এ জেলায় আগামী পাঁচ বছরে দুই হাজার ফ্রিল্যান্সারকে অনলাইন মার্কেট প্লেসে এনে তাদের আত্মনির্ভশীল করে গড়ে তোলা।

“নীলফামারী হাইটেক পার্কের কাজ ২০১৬ সালে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত স্থানের জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে যায়। বর্তমানে সেই আইনি জটিলতার নিরসন হয়েছে। খুব শিগগিরই নীলফামারী হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। সেটা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ম্যানফ্যাকচারিং হাব হিসেবে ব্যবহার করা হবে।”

২০২৩ সালের মধ্যে নীলফামারীতে হাইটেক পার্ক ও শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে তিনি তার আশার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। 

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।