বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিংহ।
সাজাপ্রাপ্ত শামসুল হক হাওলাদার মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ কানাইপুর গ্রামের ইয়াসিন হাওলাদারের ছেলে।
১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর শ্রবণ প্রতিবন্ধী হাওয়া বেগমের গর্ভের সন্তানের এবং মেয়ের স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এ মামলা করেন প্রতিবন্ধী নারীর মা অজুফা বিবি।
মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিংহ বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামি শামসুল হক মামলাটি দীর্ঘায়িত করার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করে আসছিলেন।
“আদালত মামলাটির দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছে।”
জরিামানার এ টাকা বাদী অজুফা বিবি এবং এ ঘটনার শিকার তার মেয়ে হাওয়া বেগমকে পাঁচ লাখ করে টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ মামলায় দরিদ্র বাদীপক্ষকে সহযোগিতাকারী মাদারীপুর লিগাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বিচারক মামলার রায়ের নথিতে শামসুল হকের সন্তান হিসেবে হাওয়া বেগমের ছেলে শাওন হোসেনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মাদারীপুরের দক্ষিণ কানাইপুর গ্রামের শামসুল হক হাওলাদার একই উপজেলার গদাধরদী গ্রামের ওজুফা বিবির শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে হাওয়া বেগমের সঙ্গে বিয়ের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়েন।
এক সময় সন্তান সম্ভাবা হলে শামসুল হক হাওয়াকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর হাওয়ার মা অজুফা মেয়ের গর্ভের সন্তানের এবং তার মেয়েকে স্ত্রীর পরিচয়ের স্বীকৃতির দাবিতে মামলা করেন।
মামলার পর ওই বছরেরই ১৮ নভেম্বর কালকিনি থানার এসআই মো. ওয়াদুদ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।