সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন জানান।
নিহত মো. জাবেদ হোসেন (১৮) সদর উপজেলার হাসন্দী গ্রামের শরীফ উল্লাহর ছেলে। লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র তিনি।
স্বজনদের অভিযোগ, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের এক মেয়ের সঙ্গে জাবেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই খবর জানাজানি হওয়ায় মেয়ের পরিবারের লোকজন জাবেদকে মেয়ের নানাবাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটোক সাজানোর বিচার দাবি করেছেনে ছেলের বাবা শরীফ উল্লাহ।
তবে মেয়ের খালা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন, “পালিয়ে যাওয়ার জন্য দুইজন বিজয় নগর গ্রামে মেয়ের নানাবাড়িতে একত্রিত হয়। কিন্তু মেয়ে পালাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভের বসত ঘরে দরজা লাগিয়ে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে জাবেদ। ঘটনার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত না।”
তবে পুলিশ তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন পায়নি বলে জানিয়েছে।
পরিদর্শক মোছলেহ উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জাবেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে বলে তিনি জানান।