বুধবার তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ভাবনা বিষয়ক এক সভায় এ দাবি তোলেন।
সভার সভাপতি হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি আক্তার বলেন, আমরাও মানুষ। আমরাও অন্যদের মতো ভালোভাবে জীবনযাপন করতে চাই। আমরাও ভালোভাবে বেঁচে থাকার, খাওয়া-পড়া, পেশার নিশ্চয়তা চাই।
“আমরা আর অমানবিক জীবন চাই না।”
শেরপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ, জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইইডি’র যৌথ এ সভায় জনউদ্যোগ আহ্বায়ক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ শেরপুরে প্রায় অর্ধশতাধিক হিজড়াকে ভাড়া বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, আশার কথা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিজড়াদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“কেউ তাদের ভালো চোখে দেখে না। ফলে প্রতিনিয়তই লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সইতে হচ্ছে তাদের। তাদের মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে তারাও সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরে আসতে পারে।”
সভায় উপস্থিত তৃতীয় লিঙ্গের ৪০ জনের অনেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারীর, গাড়িচালকের চাকরি, দোকান, টেইলারিং ও বিউটি পার্লারের উদ্যোক্তা এবং ঝাড়ুদার হওয়ারও আগ্রহ দেখান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের যেসব সুযোগ আছে আমরা তাদেরকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। কিন্তু এজন্য তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আগ্রহ ও উদ্যোগ থাকতে হবে।
নারী উদ্যোক্তা আইরীন পারভীন তার প্রতিষ্ঠানে হিজড়াদের সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
শেরপুর জেলায় ৫২ জন হিজড়ার মধ্যে একজন স্নাতক পাশ, দুইজন স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন এবং এসএসসি পাশ করেছেন তিন জন। এদের পাঁচজন তাদের পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। বাকিরা চাঁদা তুলে জীবন নির্বাহ করেন বলে জানিয়েছেন জন উদ্যোগের সদস্য সচিব হাকিম বাবুল।