বুধবার দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আহসান তারেক এ সাজা দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার রহিম উদ্দিন ঠাকুরের ছেলে। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ গ্রামে বাস করেন। তবে মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ গ্রামের রাজমিস্ত্রি মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ছাবিয়া খাতুনকে (২২) নানা রকম প্রলোভন দেখাতেন প্রতিবেশী লুৎফর রহমান।
২০০৪ সালের ১০ জুন দুপুরে মতিয়ার রহমানের অনুপস্থিতিতে ছাবিয়া খাতুন ও তার শিশু মেয়েকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান লুৎফর।
২০০৪ সালের ১৬ জুন দুপুরে এ ঘটনায় মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে লুৎফর রহমানকে একমাত্র আসামি করে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ওই মামলা তদন্ত শেষে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক বাবুল আক্তার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তার ভিত্তিতে ২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেয় আদালত। এরপর ২০০৮ সালের ১২ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, লুৎফর রহমান পলাতক থাকায় আসামির অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।
ওই নারী ও শিশুর কোনো খোঁজ মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়নি।