মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নবাববাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির এক যৌথ প্রতিনিধি সভা চলাকালে অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা নিয়েই এ ঘটনার সূত্রপাত।
বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম গ্রুপ এবং এমআর ইসলাম স্বাধীন গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ঘটে বলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পদ বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করে উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবি নিয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করে। পরে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িও হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা কমিটির সদস্য আব্দুল আলীম জানান, এমআর ইসলাম স্বাধীনের সমর্থক তৌফিক আলম ‘প্রস্তাবিত কমিটিতে ছিলেন।’
এমআর ইসলাম স্বাধীন কারাগারে থাকায় ‘তৌফিককে কমিটি থেকে বাদ দেয় মীর শাহে আলমের গ্রুপের লোকজন।’ এর প্রতিবাদ করতে আসলে এ ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিক্ষুদ্ধরা দলীয় কার্যালয়ের কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করে বলেও জানান তিনি।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ।