মঙ্গলবার ফরিদপুরের স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনীতিক,ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেদেশের সরকার আকস্মিকভাবে কাঁটা টুকরা ও গুঁড়া ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার দুই দিন পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এই প্রেক্ষিতে ফরদিপুরে এসে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বর্তমান বাজার মূল্য, মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা বিষয়ক’ এ সভায় তিনি বলেন, “আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।”
“আপাতত দেশি পেঁয়াজ দিয়েই যেন একটা মৌসুম পার করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যদিকে আস্তে আস্তে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে।”
গত বছরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে আড়াইশ থেকে তিনশ টাকাতেও পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল। এবার ভারতের এ বন্ধের ঘোষণা এলে বাংলাদেশে তার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।
হুট করে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিসিবি খোলা বাজারে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।
গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, “কত কষ্ট করে সম্পর্ক উন্নয়ন করি (ভারতের সঙ্গে) আর ছোট্ট পেঁয়াজের জন্য সম্পর্ক নষ্ট হয়।”
ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকারের সভাপতিত্বে এ সভায় আরো বক্তব্য দেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী, সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, মধুখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মনোয়ার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক মোল্লা, জেলা মৎস কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।