আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানাসহ ৪ জন ছুরিকাহত হয়েছেন।
সোমবার বিকালে ঈশ্বরদী বাসস্ট্যান্ডে সভা শেষে দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বাড়িতে খেতে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবীর খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর উপস্থিতিতেই জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা এবং ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান সুইটের সমর্থকরা মারামারিতে জড়ায়।
হিমেল ছাড়াও ছুরিকাহত হন জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্রাণ সম্পাদক রানা মিয়া।
তাদের প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হিমেল সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা হাবিবুর রহমান হাবিবের বাড়িতে অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ করেই সুইটের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমিসহ যুবদলের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে।”
হামলায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে সুইট বলেন, “বিএনপির কিছু সাবেক নেতা ও যুবদলের নেতারা প্রথম থেকেই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না। এরপরেও, আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে মাঠ গুছিয়ে এনেছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিব্রত করতেই অহেতুক অস্থিরতার সৃষ্টি করা হয়েছে।”
এদিকে বিএনপির প্রার্থী হাবিব বলেছেন, সংঘর্ষের ঘটনা নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়।
“যুবদলের ছেলেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বড় করে দেখার মতো কিছু নয়।”
ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, “খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে মারামারির কথা শুনেছি। কোনো পক্ষই আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”