সোমবার ভারতের ঘোজাডাঙ্গা থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চারটি ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন।
এর আগে গত শনিবার থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে অন্তত ৩৬ ট্রাক এবং হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানির হয়েছিল।
চার ট্রাক পেঁয়াজ আমদানির কথা নিশ্চিত করে রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, আর কত ট্রাক পেঁয়াজ তারা ছাড় দেবে সে বিষয়ে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
এর মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার ৩১ ট্রাক, রোববার পাঁচ ট্রাক এবং সোমবার সন্ধ্যায় চার ট্রাক সব মিলিয়ে ৪০ ট্রাকে এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাকি পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি থাকলেও সেইসব পেঁয়াজ আসেনি।”
সীমান্তের ওপারে ঘোজাডাঙ্গায় আরো দুই শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর ও হিলি স্থলবন্দরে নতুন করে আর কোনো পেঁয়াজের ট্রাক আমদানি হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দর প্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে পেঁয়াজ বোঝাই আরো একশটি ট্রাক এসে জড়ো হয়েছে। আগের ১২টিসহ ১১২টি পেঁয়াজের ট্রাক সেখানে অপেক্ষমান বলে জানান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
নিজেদের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার আকস্মিকভাবে কাঁটা টুকরা ও গুঁড়া ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। ওই ঘোষণার পর সীমান্তে বাংলাদেশ অভিমুখী পেঁয়াজের ট্রাকগুলোও আটকে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এর প্রতিক্রিয়ায় হুট করে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিসিবি খোলা বাজারে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।
গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, “ত কষ্ট করে সম্পর্ক উন্নয়ন করি (ভারতের সঙ্গে) আর ছোট্ট পেঁয়াজের জন্য সম্পর্ক নষ্ট হয়।”