মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের সবার জামিন

নারায়ণগঞ্জ শহরে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2020, 12:24 PM
Updated : 21 Sept 2020, 12:25 PM

দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আফতাবুজ্জামানের আদালতে হাজির করা হলে শুনানির পর তাদের জামিন মঞ্জুর করে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের পরপরই নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফেলতি রয়েছে বলে ব্যাপাক আলোচনা শুরু হয়। এ অবস্থায় ওই আট কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তিতাস গ্যাস।

পাশপাশি এ ঘটনায় করা মামলায় গত শনিবার সিআইডি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিতাসের তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নেয়।

জামিন পাওয়া তিতাস কর্মীরা হলেন, তিতাস গ্যাস ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসের সাময়িক বরখাস্ত ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া ও কর্মচারী ইসমাইল প্রধান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সুলতান আহমেদ বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই আইনে তারা পড়েন না। আদালত শুনানি শেষে ৫শ’ টাকা বন্ডে তিতাসের চার কর্মকর্তাসহ আট জনের জামিন মঞ্জুর করেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তদন্তের ভার পেয়ে সিআইডি তিতাসের এই আট কর্মী ছাড়াও ‘ওই মসজিদে বৈদ্যুতিক কাজ করা’ বিদ্যুৎ মিস্ত্রি মোবারক হোসেনকেও গ্রেপ্তার করেছে।

৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারের কর্মসংস্থানসহ ছয় দফা দাবিতে ডিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে স্বজনহারারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা ডিসি জসিম উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন স্বজনহারা পরিবারের পক্ষে নিহত ইমাম আব্দুল মালেকের ছেলে নাইমুল ইসলাম। এ সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

দাবিগুলো হল- ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এক কালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান, স্বামীহারা মায়েদেরকে সরকারের বিধবা ভাতার আওতায় আনা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের সংস্কার, মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দুইটি মেরামত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।