জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছেন; যার সত্যতা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার সকালে শহরের কাউতুলী এলাকায় দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে তার ২২ বছর বয়সী প্রসূতি স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে তার এক মেয়েসন্তানের জন্ম হয়।
“মারুফা রহমান নামে একজন চিকিৎসক ১৬ হাজার টাকার চুক্তিতে এই অস্ত্রোপচার করেন। পরে নবজাতকের পেটের একপাশে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা বলেন, ‘নাভি কাটকে গিয়ে কাচির আঘাত লেগেছে’।”
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সিভিল সার্জন দপ্তরের কর্মকর্তারা হাসপাতালে যান।
সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালটিতে যাই। তাদের কোনো লাইসেন্স নেই।”
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে হাসপাতালটিকে জরিমানা করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, “শিশুর পেটে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে তেমন গুরুতর নয়। অদক্ষতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
“হাসপাতালটিতে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছিল। রোববার সকালেও দুটি সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এছাড়া এখানে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা করা হয়। হাসপালের ল্যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। হাসপাতালটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।