তাদের বিরুদ্ধে শনিবার দ্রুত বিচার আইনে বাসন থানায় মামলার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. আজাদ মিয়া।
ইমরুল হাসান গাজীপুর সিটি পুলিশের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বাসন থানার এসআই মোশারফ হোসেন মামলার বরাতে বলেন, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে নির্মাণ শ্রমিক রেজাউল ইসলাম ও তার দুই বন্ধু চান্দনা চৌরাস্তা থেকে হেঁটে কোনাবাড়ির পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইমাইল এলাকায় পৌঁছালে আমিনুল ও ইমরুল ওই তিনজনের পথরোধ করেন। আমিনুল নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তা না দেওয়ায় তাদের অটোরিকশায় করে আউটপাড়া এলাকায় নেওয়া হয়।
এসআই মোশারফ বলেন, রেজাউলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন ইমরুল ও আমিনুল। থানায় না নেওয়ায় সন্দেহ হওয়ায় তারা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আমিনুল ও ইমরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ আমিনুলের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
ছিনতাইয়ের অভিযোগে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে থানায় মামলা করেছেন বলে বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আজাদ মিয়া বলেন, ইমরুল হাসানকে শনিবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইমরুল দুই মাস আগে গাজীপুর সিটি পুলিশে যোগ দেন।