এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হলেও তা শৃংখলা বোর্ডে না ওঠায় বিচার হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নূরউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়নি। শৃংখলা বোর্ড প্রতিবেদন চাইলে হস্তান্তর করব। শৃংখলা বোর্ড প্রতিবেদনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”
শৃংখলা বোর্ড কেন প্রতিবেদন চায়নি, চাওয়ার দায়িত্ব কার সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না।”
তবে উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বছরে অন্তত দুইবার রিজেন্ট বোর্ডের সভা হওয়া উচিত। কিন্তু গত দুই বছরে একটাও হয়নি। একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংও হয়নি গত দুই বছরে। আমি কেবল দুই সপ্তাহ এসেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা দেখতে পাবেন।”
মাহবুব গত ১ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছেন।
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জেবিনের ওপর হামলার অভিযোগ আসে। কিন্তু জেবিন মামলা করেননি। ওই সময় সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলার কারণে তিনি মামলা করতে পারেননি বলে তার দাবি।
হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করেন।
গত বছর অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠনের কয়েক দিন পরই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটি গঠন করে দেন সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সাজাহান। তিনি বর্তমানে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান।
তিনি বলেন, “কমিটি গঠনের পর কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঞ্জীভূত অনেক সমস্যার কারণে সেটা সামনে আনা সম্ভব হয়নি। এখন নতুন উপাচার্য এসেছেন। বিষয়টি এখন সামনে আনা হবে।”