শুক্রবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আগের রাতে শেরপুর শহরের উত্তর নবীনগর এলাকায় স্বামীর বাড়িতে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নিহত রেজিয়া বেগম (২৬) রেজিয়া শেরপুর টাউনের চকপাঠক এলাকার আনিস মিয়ার মেয়ে। উত্তর নবীনগর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে শহীদের স্ত্রী তিনি। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।
আটকতরা হচ্ছেন, নিহতের জা বিথী আক্তার, চাচাত দেবর সুজন মিয়া ও মামা শ্বশুর আব্দুল মোতালেব।
তবে নিহতের স্বামী শহীদ (৩০) ও শ্বশুরবাড়ির অন্য লোকজন পালিয়ে গেছেন বলে জানায় পুলিশ।
নিহতের পারিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রায় ১০ বছর আগে শহীদের সঙ্গে বিয়ে হয় রেজিয়ার। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ এক লাখ টাকা দিলেও আরও যৌতুকের জন্য রেজিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রেজিয়ার বাবা না থাকায় ও ভাইরা দরিদ্র হওয়ায় যৌতুক দিতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী শহীদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলেন ওসি।
এতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করার কথা বলে পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।