কুমিল্লায় বাসে তরুণীকে দলবেঁধে ‘ধর্ষণ’, চালক ও সহযোগী গ্রেপ্তার 

কু‌মিল্লায় এক তরুণীকে বাসে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2020, 06:18 AM
Updated : 18 Sept 2020, 06:20 AM

সদর দ‌ক্ষিণ থানার ও‌সি নজরুল ইসলাম জানান, জেলার  পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদী হ‌য়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দা‌য়ের ক‌রেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাসের চালক আরিফ হোসেন সোহেল (২৬) ও তার সহযোগী বাবু শেখ (২২)।

গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ত‌বে এ মামলার আরেক আসামি বাসের সুপারভাইজার (৩২) আলম পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

ও‌সি নজরুল বলেন, “মেয়েটি গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আবদুল্লাহপুরে তার জেঠাতো বোনের বাসায় যায়। সোমবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বোনের বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসে। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘তিশা প্লাস’ পরিবহনের একটি বাসে করে কুমিল্লা নগরের শাসনগাছার উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই তরুণী।

“পথে কিন্তু চালক মেয়েটিকে শাসনগাছা বাস স্ট‌্যা‌ন্ডে না নামিয়ে কৌশলে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় নিয়ে যায়।”

মামলার বরাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তদন্তকারী কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে চালক ও হেলপার বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে ওই তরুণীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে চালক বাস থেকে নেমে চলে গেলে হেলপার ও সুপারভাইজার মেয়েটিকে বাস থেকে নামিয়ে পদুয়ার বাজার এলাকায় বাবু শেখের ঘরে নিয়ে আবার তাকে ধর্ষণ করে।

“পরে সকাল ৬টার দিকে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বের করে দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে। পরে তরুণী মোবাইল ফোনে তার মাকে ঘটনা জানায়।”

পরে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মেয়েটির মা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জেনে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এ মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

মেয়েটির মা বলেন, “আমার মেয়ে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সে ৫ মাস আগে বাড়ি চলে আসে।

“গত শুক্রবার চাকরির সন্ধানে বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়ে জেঠাতো বোনের বাসায় ওঠে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ শিকার হয়।”