নবাবগঞ্জ থানার এসআই পলি আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে এ ঘটনায় আহত হোসেন উজ্জ্বল সেনের মা শিল্পী আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহাদ হোসেন উজ্জ্বল (২৬) উপজেলার ওই ইউনিয়নের পীরমাহমুদিয়া গ্রামের হারুনের ছেলে।তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিমপুর গ্রামে জালাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের চৌরাস্তায় উজ্জলের একটি মুদি ও গ্যাসের দোকান রয়েছে।
শিল্পী আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “0সকালে আমার ছেলে দোকানে বসেছিল। এ সময় কাশিমপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মনির (৪৫) ও পীর মাহমুদিয়া গ্রামের রফিকের ছেলে জয়নাল ওরফে জনা (৩০) ও মনির দোকানে গিয়ে আমার ছেলের কাছে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বাকি চায়। এ সময় আমার ছেলে ৮/৯ মাস পূর্বে বাকি নেওয়া মালামালের পাওনা ২ হাজার ৫০০ টাকা চেয়ে বলে পূর্বের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে নতুন করে আর বাকি দেওয়া যাবে না।
“এ সময় মনির আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাকি না দিলে ব্যবসা করতে দিবে না বলে ভয়-ভীতি দেখায়। আমার ছেলে এর প্রতিবাদ করিলে ছেলেকে দোকান থেকে টেনে বাহিরে বের করে মনির ও জনা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।”
পরে স্থানীয়রা গিয়ে আহত অবস্থায় উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে জানান শিল্পী আক্তার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উজ্জলকে আপাতত ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে।
“এলোপাতাড়ি আঘাতের কারণে তার মাথার ৪/৫ জায়গায় ফেঁটে গেছে। সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাম কানের একটু উপরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
নবাবগঞ্জ থানার এসআই পলি আক্তার বলেন, জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।