বেনাপোলে বেশি দামে পেঁয়াজ বেচায় জরিমানা

বেনাপোলে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2020, 01:06 PM
Updated : 15 Sept 2020, 01:06 PM

মঙ্গলবার দুপুরে শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এ তিনজনের থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন।

এ তিন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, মিম বাণিজ্য ভান্ডার, মেহেরাব স্টোর এবং বাণিজ্য ভান্ডার।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণার পর দিন সারা দেশেই বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির খবরের মধ্যে এই সাজা দেওয়া হল।

ইউএনও পুলক কুমার মন্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় বেনাপোল বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে, এমন অভিযোগ পেয়ে বেনাপোল বাজারে পরিদর্শনে গেলে এর সত্যতা মেলে।”

দ্রব্যমূল্যের তালিকা না পাওয়া এবং বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অভিযোগে 'মিম বাণিজ্য ভান্ডারকে' ১০ হাজার টাকা, 'মেহেরাব স্টোরকে' ১৫ হাজার টাকা এবং 'বাণিজ্য ভান্ডারকে' ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে সতর্কও করা হয়েছে বলেন তিনি।

তিনি জানান, উপজেলার প্রতিটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে পেঁয়াজের দাম স্থিতি রাখতে বাজার মনিটরিং-এর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর কাঁটা টুকরা ও গুঁড়া ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে তাদের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়।  

এ ঘোষণার পর সীমান্তে বাংলাদেশ অভিমুখী পেঁয়াজের ট্রাক আটকে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, প্রতি মেট্রিক টন ২৫০ ডলারের এলসির এই পেঁয়াজ এখন বর্ধিত মূল্য ৭৫০ ডলারে এলসি করলেই সেগুলো ছাড়া হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি এবং মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরেও পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করে এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত।  সে সময় বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সে সময় ক্রেতাদের ২৫০-৩০০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল।

পরে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ রপ্তানিও করে ভারত।