সাঘাটা উপজেলার গোরেরপাড়া গ্রামের রাইস মিল মালিক শাহিন আলম বলেন, সম্প্রতি রাতে তার রাইস মিলের মিটার চুরি হয়।
“মিটারের জায়গায় একটি মোবাইল নম্বর লেখা। নম্বরটিতে ফোন দিই। মিটার ফেরত দেওয়ার জন্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে চোর।”
তিনি বলেন, “পরে চোর চক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে আট হাজার টাকা পাঠাই। তারা মিটারটি কোথায় পাওয়া যাবে তা জানিয়ে দেয় ফোনে। পরদিন রাস্তার পাশের একটি জায়গা থেকে মিটার উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানায় জানালেও পুলিশ কিছু করতে পারেনি বলে তার অভিযোগ।
একই উপজেলার বোনারপাড়া গ্রামের রাইস মিল মালিক মোখছেদুর রহমান একই কায়দায় মিটার হারিয়ে একই কায়দায় ছয় হাজার টাকা পাঠিয়ে মিটার উদ্ধার বরেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, গত সাত দিনে তার এলাকায় পাঁচটি মিটার চুরি হয়েছে।
উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. ছানাউল্লাহ এমন থবর শুনেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে একটি জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাঘাটা থানার ওসি বেলাল হোসেন।
তবে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাঘাটা এলাকায় মিটার চুরির অনেক অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এগুলো তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এই চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।