মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসমীম আক্তার মিম নামে এই গৃহবধূ মারা যান বলে দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম জানান।
মিম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মহিবুল আলমের মেয়ে।
মহিবুল বলেন, চার বছর আগে দৌলতপুর উপজেলার তাড়াগুনিয়া গ্রামের জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজ আহমেদ বাপ্পীর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়।
“যৌতুক না দেওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করা হয় মিমকে। তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।”
মহিবুলের অভিযোগ, “ঘটনার পরপরই দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ বলে, ‘আপনার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এসবের কোনো মামলা হয় না। এখানে পুলিশের কিছু করার নেই’।”
তবে মিমকে কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে সে বিষয়ে মহিবুল কিছু বলেননি।
ওসি জহুরুল আলম বলেন, তিনি মাত্র দুই দিন আগে এ থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
“তবে পুলিশ অভিযোগ পেয়েও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর মিমের বাবাকে এজাহার দিতে বলেছি। দাফন সম্পন্ন করে এজাহার নিয়ে আসার কথা। এজাহার পেলে মামলা নথিভুক্ত করাসহ আইনগত যা কিছু করার আছে সবই করবে পুলিশ।”