দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর দিনাজপুরের বাজারে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2020, 08:39 AM
Updated : 15 Sept 2020, 08:39 AM

মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের এনএ মার্কেটের পাইকার আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সকালে তারা হিলি স্থল বন্দর থেকে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। মঙ্গলবার সকালে সেই পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে।”

আজিজুল পাইকারি কিনে পাল্লা হিসেবে পাইকারি দরেই পেঁয়াজ বিক্রি করেন।

খুচরা বাজারের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, সোমবার খুচরা বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সেখানে মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।”

ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।

তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, আগের পেঁয়াজের দামই বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।

আমদানিকারকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

হিলি স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি হারুন-উর-রশিদ বলেন, “আমদানিকারকদের হাতে পেঁয়াজ নেই। সোমবার হিলিতে কোনো পেঁয়াজ ছিল না। পাইকাররাই মজুদ করে ইচ্ছামত দাম বাড়াচ্ছেন।”

তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। কাঁটা টুকরা ও গুঁড়া ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে তাদের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে। 

এই ঘোষণার পর সীমান্তে বাংলাদেশ অভিমুখী পেঁয়াজের ট্রাক আটকে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, প্রতি মেট্রিক টন ২৫০ ডলারের এলসির এই পেঁয়াজ এখন বর্ধিত মূল্য ৭৫০ ডলারে এলসি করলেই সেগুলো ছাড়া হবে। 

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর এই সেপ্টেম্বরেই প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, ৫০-৬০ টাকা কেজি দামের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকায়।

পরে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

এখন আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “দাম বেড়ে গেছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারেও ঘাটতি রয়েছে। মওসুমের কারণে এই ঘাটতি দেখা দিলেও কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে।”