রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় এই অধ্যাপকরা তাদের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন বলে মতিহার থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, “রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক থানায় এসে জিডি করেছেন। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।”
এরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সুলতান-উল-ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা, সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক অসিত রায়, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক এসএম ফারুক হোসাইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্যাহ।
“এ ঘটনায় আমরা শঙ্কিত এবং আশঙ্কা প্রকাশ করছি যে, তাদের নেতৃত্বে আমাদের ওপর ব্যক্তিগত হামলা হতে পারে এবং রাস্তাঘাটে গাড়িগুলো ক্ষতিসাধন করতে পারে।”
তারা আরও উল্লেখ করেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক ক্লাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবাধে বিচরণ কীভাবে সম্ভব এবং চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে, তা আমাদের কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাচ্ছি।”
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্তসংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ইউজিসিতে জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ। এরও কয়েক মাস আগে থেকে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকসমাজ’ ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। এই নয় অধ্যাপকও ওই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনে (ইউজিসি) এই অভিযোগের শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, “আগামী কয়েকদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ইউজিসিতে শুনানি রয়েছে। আমরা বর্তমান উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বরাবর দিয়েছি। আমাদের ধারণা, শুনানির সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে।”