রোববার রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে এ নৌপথ ব্যবহারকারীদের বিকল্প পথ ধরার পরামর্শ দিয়েছেন শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম শফিকুল ইসলাম।
এজিএম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথের মুন্সীগঞ্জের লৌহজং চ্যানেলের মুখে নদীর স্রোতে চর ভেঙে ভেঙে পলি দ্রুত গতিতে চ্যানেলের মুখে জমা হচ্ছে। এতে ফেরি চলাচলের প্রয়োজনীয় নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
“দুই দিন আগে সীমিত আকারে পাঁচটি ছোট ফেরি চলাচল করলেও সেটিও এখন চালানো যাচ্ছে না। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল আবারো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
ড্রেজিং বিভাগের সাথে তাদের কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যত দ্রুত লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে খনন করে দেবে। খনন যত দ্রুত করা যাবে তত দ্রুত ফেরি আবারো চলাচল করবে।
তবে কখন চলবে তার কোরো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে, নয় দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার বিকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চালু হলেও রাতে বন্ধ এবং দিনে সীমিত আকারে চলছিল ফেরি।
রোববার সকাল ৬টায় পুনরায় ফেরি চলা শুরু হলেও দুপুরে থমকে যায়। বিকাল সাড়ে ৫টায়
আবার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় ফেরি কুমিল্লা।
মাঝে মাঝেই মাঝ পদ্মায় আটকে যাচ্ছে ফেরি জানিয়ে বিকালে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শাফিকুল ইসলাম জানান, লৌহজং টার্নিং এর মুখে নাব্যতা সংকটের কারণে ড্রেজিং চলছে।
“বিকাল সাড়ে ৫টায় ছেড়ে যাওয়া ফেরিটি বাধা ছাড়া চ্যানেল অতিক্রম করতে পারলে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ফেরি আবার চলবে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
অন্যদিকে পদ্মার তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে শিমুলিয়ার নতুন তিন নম্বর ফেরি ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার প্রবল স্রোত এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। গত দুই মাসে তিন দফা ভাঙনের কবলে পড়ে শিমুলিয়া ঘাট।