শনিবার বিকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট এলাকায় সড়কে গ্যাস লিকেজের জায়গায় কাজ শুরু করেছেন তারা।
শনিবার সকালে কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর মজুমদারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) আবুল বাশার, নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বিক্রয়) মো. সোলায়মান, ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাগির আহমেদ, ফেনী এরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাহাবুদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও নুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুরে ওই স্থান পরিদর্শন করেন ডিসি মো. ওয়াহিদুজজমান।
এ পরিস্থিতে গত শুক্রবার জানতে চাইলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ফেনী অফিসের ব্যাবস্থাপক সাহাব উদ্দিন শুক্রবার বলেছিলেন, গত ২৬ জুলাই সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
“সড়ক বিভাগের অনুমতি নিয়ে রাস্তা কেটে মহাসড়কের ত্রুটিযুক্ত লাইন মেরামত করতে সময় লাগবে।”
তবে শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসার পর ফাইল চালাচালিতে ঝুলে থাকা মেরামতের কাজ বিকালেই শুরু হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার বিকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহিপাল ফ্লাইওভারের পাশে জিরোপয়েন্ট এলাকায় শাহীন হোটেল এন্ড রেস্টেুরেন্টের সামনে মহাসড়কের জোড়া দেওয়া অংশ (সিসি ঢালাই) ও ড্রেন (ফুটপাত) এর পাশ দিয়ে প্রায় একশ মিটার অংশ জুড়ে গ্যাসের বুদবুদ বের হচ্ছিল।
সেখানে ধূমপায়ীরা জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ফেললে ধুপ করে আগুন ধরে যায়। তার রেস্তোরাঁয় নিয়মিত চা-নাসতা খেতে আসা বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কয়েক মাস আগেই এ ঘটনা জানিয়েছিলেন বললেন তিনি।
স্থানীয় পত্রিকা এজেন্সি আজাদ স্টোরের ম্যানেজার রাজু জানান, বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক অভিযোগ জানালে তারা কিছুদিন পর পর লোকজন এসে ঘটনাস্থল ঘুরে সামান্য কিছু বালু ফেলে ঢেকে দিয়ে যায়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত গ্যাস লিকেজের মেরামতের কোনো স্থায়ী উদ্যোগে নিতে দেখা যায়নি।
“গ্যাস লিক করে দিনের আলোতে আগুন শিখা দেখা না গেলেও রাতের আঁধারে মাঝে মাঝে আগুনের ছোট শিখা দেখা যায়। মহাসড়কে গ্যাস লিকের অংশে দ্রুত না সারালে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
শনিবার বিকাল ৫টায় সংস্কার কাজ শুরু হলে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে।