আটোয়ারী থানার ওসি ইজার উদ্দীন জানান, শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত এইচএম হাবিবুর রহমান হাবিব উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও-দলুয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সদস্য।
ওসি ইজার বলেন, কিশোরীর বাবা হাবিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বড় সিঙ্গিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এই কিশোরীর বাবার বাড়ি রাধানগর ইউনিয়নে। কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে নানাবাড়ি থাকে। কিশোরীর বাবা হাবিবের কাছ কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলেন। এই সূত্রে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে হাবিবের যোগাযোগ। হাবিব কিশোরীকে বলেন, তার বাবা তাকে ডাকছেন। বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে হাবিব কিশোরীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। কিন্তু হাবিব তাকে তার বাবার কাছে না নিয়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের জুতা মেরামতকারী সুশীলের বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে হাবিব কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তবে কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে হাবিবকে আটক করে পুলিশে দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাশেদুজ্জামান বলেন, কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে হাসপতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাবিবকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।