তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম জানান, গ্যাস বের হওয়ার খবর পেয়ে তাদের একাধিক দল শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ওই সড়কে ঘুরে দেখেছেন। তারা সেখানে গিয়ে গ্যাসের পাইপে আর কোনো ছিদ্র দেখতে পাননি।
এর আগে মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশের পুরো সড়ক খুঁড়ে তারা ছয়টি ছিদ্র পেয়ে সেগুলো বন্ধ করেন।
তিতাস কর্মকর্তা মফিজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছিদ্র হলে অনবরত গ্যাস বের হত। ধারণা করা হচ্ছে, নালার ভেতরে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে সৃষ্ট গ্যাস বুদ বুদ করে বের হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে এক শিশু, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ অন্তত ৩১ জন এরইমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাকিদের অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে গত সোমবার ওই মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশের সড়ক খনন করে তিতাসের কর্মীরা। মসজিদের পূর্ব পাশের সড়কে কোনো ছিদ্র না পেলেও উত্তর পাশের পুরো সড়কের পাইপে ছয়টি ছিদ্র পাওয়ার কথা জানান তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা। সেসব ছিদ্র মেরামত করে গ্যাসের সংযোগ চালু করা হয়। এরপরেও সেখান থেকে গ্যাস বের হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।
“মাত্র গ্যাসের লিকেজের কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল। এখনও এই লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এ রকম হলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হবে,” বলেন হাফিজুর নামে মসজিদের পাশের ওই বাসিন্দা।