ভোলায় কিশোরীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার তিন

ভোলায় বেড়াতে আসা ১৬ বছরের কিশোরীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায়’ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2020, 03:13 PM
Updated : 11 Sept 2020, 04:30 PM

শুক্রবার মনপুরা থানায় ওই কিশোরীকে দিয়ে গ্রেপ্তার তিনজনকে শনাক্ত করায় পুলিশ। তাদেরকে আগের রাতে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার সন্দেহে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, শাকিব, করিম, জোবায়ের। তাদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া শামীম ও রুবেল নামে আরো দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি পুলিশ জানার পর ওই কিশোরীকে পুলিশের হেফাজতে নেয়। এরপর রাতভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করে। পরে তাদের একজনকে সম্পৃক্ততা না পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করে জানিয়ে ওসি বলেন, এরপর আটকদের মধ্যে তিনজনকে ওই কিশোরী শনাক্ত করায় তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার পলাতক অপর দুই আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

মনপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল চালকের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারের বিবরণ উদ্ধৃত করে ওই কিশোরীর খালু ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত কোরবানির ঈদে ঢাকা থেকে মনপুরায় খালুর বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় ওই কিশোরী বাড়ির শৌচাগারে যেতে ঘর থেকে বের হয়।

ওই সময় ওৎপেতে থাকা শাকিব, শামিম, জোবায়ের, করিম ও রুবেল কিশোরীর মুখে টিসু দিয়ে চেপে ধরে মোটরসাইকেলে করে মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চার তলা ভবনের দোতলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তারা কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন বলে জানান তারা।

এরপর কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের কূলাগাজী তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে নিয়ে যান। সেখানে ফের ‘ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানো হয় বলেন অভিযোগ করা হয়েছে।

ভোরে গ্রেপ্তার তিন জন এবং পলাতক দুই আসামি ওই কিশোরীর হাত, পা বাঁধা অবস্থায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তবে সে সময় স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলার কারণে ঘটনাটি পুলিশ জানতে পারেনি। গত বৃস্পতিবার ঘটনা জানার পর পুলিশ তৎপর হয় বলে জানান তারা।