বুধবার সকালে জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (কক্সবাজার সদর-৪) তামান্না ফারাহ'র আদালতে তাদের হাজির করা হয় বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান।
এরা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এএসপি খাইরুল বলেন, সিনহা হত্যা মামলার আসামি চার পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় চারদিনের শেষে রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে বেলা সোয়া ১১টায় এএসআই লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়। এর আধা ঘণ্টা পর কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল সাফানুর করিমের জবানবন্দি নিতে বিচারকের খাস কামরায় হাজির করানো হয়। "
গত ১২ আগস্ট এ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ আগস্ট তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে রিমান্ড শেষে ২০ আগস্ট তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে।