গ্রিড উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, ময়মনসিংহের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে

কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডে পুরো ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর একে একে বিভিন্ন এলাকায় ফের সরবরাহ শুরু করেছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2020, 04:29 PM
Updated : 8 Sept 2020, 04:30 PM

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি-পিজিসিবি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দিইটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর দেড় ১টার দিকে কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ-এ চার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আলাদা দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান মিয়া, পিডিবির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও পিজিসিবির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া পিজিসিবির ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের এক তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরির্দশন ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গ্রাহকের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সরবরাহ করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বলে জানান তিনি।

পিসিজিবি ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মাছুদুল হক বলেন, পাওয়ার সিস্টেম ডেভেলাপমেন্টের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে লাইন চালু করা হয়েছে।

“আশাকরি রাতের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হয়তো কিছু এলাকা বন্ধ থাকতে পারে।”

বিঘ্ন ঘটার সাড়ে চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেত্রকোনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুৎ প্রায় সাড়ে ১০ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ছয় লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে রয়েছে।

শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু এলাকায় আংশিকভাবে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরো বিভাগের সব জেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই-একদিন সময় লাগবে বলেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডের পাওয়ার ট্রান্সফরমার, ৩৩ কেভি সার্কিট ব্রেকার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার-সিটি, আইসোলেটর, কন্ট্রোল সার্কিট সিস্টেমসহ প্যানেল বোর্ড পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।