এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি-পিজিসিবি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দিইটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর দেড় ১টার দিকে কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ-এ চার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আলাদা দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া পিজিসিবির ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের এক তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরির্দশন ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গ্রাহকের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সরবরাহ করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বলে জানান তিনি।
“আশাকরি রাতের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হয়তো কিছু এলাকা বন্ধ থাকতে পারে।”
বিঘ্ন ঘটার সাড়ে চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেত্রকোনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু এলাকায় আংশিকভাবে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরো বিভাগের সব জেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই-একদিন সময় লাগবে বলেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডের পাওয়ার ট্রান্সফরমার, ৩৩ কেভি সার্কিট ব্রেকার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার-সিটি, আইসোলেটর, কন্ট্রোল সার্কিট সিস্টেমসহ প্যানেল বোর্ড পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।