ইউএনওর ওপর হামলা: পুলিশের তদন্তে পূর্ণ আস্থা রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চুরি করতে গিয়ে নাকি পরিকল্পিত এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভুঞা পুলিশের তদন্তে পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়েছেন।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2020, 03:13 PM
Updated : 8 Sept 2020, 03:13 PM

মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পুলিশী তদন্তের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।

“আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে।”

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১৩ তিনজনকে আটক করে ৪ সেপ্টেম্বর রংপুরে এক প্রেস ব্রিফিং-এ আটক তিনজনই তাদের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করার কথা জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেন, ‘চুরি করার জন্য’ তারা ইউএনওর বাসায় ঢুকেছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে।

তবে এই ব্রিফিং-এ বলা ‘চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার’ কথা মানতে নারাজ সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

গত শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমেদ হেলালুদ্দীন বলেন, “কোনো কোনো মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিচ্ছিন্ন ও চুরির ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

“অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটি কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ দুর্বৃত্তরা কোনো প্রকার জিনিস চুরি করেন বা খোয়া যায়নি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সাথে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।”

এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনের ছাদ বাগান উদ্বোধনের সময় ওই প্রসঙ্গ তুলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে তাদের আস্থা কতটা জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকরা।

তাদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার আস্থার কথা প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় গঠিত প্রশাসনের তিন সদস্যের কমিটি প্রশাসনিক বিষয়গুলো তদন্ত করবে এবং সুপারিশ করবে।

“প্রয়োজনে পুলিশকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করবে। তবে সংঘটিত অপরাধের মূল তদন্তের দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।”

র‌্যাব ওই তিন অসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর মামলাটি এখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে।