বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামালের মায়ের দাফন

ভোলায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামালের মায়ের তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2020, 02:38 PM
Updated : 8 Sept 2020, 02:38 PM

মঙ্গলবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে মৌটুপি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার স্বামী হাবিবুর রহমানের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে মৌটুপি গ্রামে বাড়িতে তার মৃত্যু হয় বলে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা সেলিম আহমেদ জানিয়েছেন।

প্রয়াত মালেকা বেগম (৯৪) বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

কিডনিতে জটিলতা, রক্ত শূন্যতাসহ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। গত ১৮ অগাস্ট ভোলার ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২০ অগাস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

৩ সেপ্টেম্বর তাকে ভোলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নে মৌটুপি গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়।

মঙ্গলবার বিকালে মৌটুপি গ্রামে তার বাসভবনের সামনে বীর শ্রেষ্ঠ ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ভোলার ডিসি মাসুদ আলম সিদ্দিক,পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান। প্রয়াত হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মালেকা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়।

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিজের জীবন দিয়ে অনেক সহযোদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল।

স্বাধীনতাযুদ্ধের যে সাতজন বীরকে সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’উপাধিতে ভূষিত করেছে, মোস্তফা কামাল তাদেরই একজন।

১৯৮২ সালে মেঘনা নদীর ভাঙনে দৌলতখানের বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে চলে আসে মোস্তফা কামালের পরিবার। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেখানে ৯২ শতাংশ জমিতে ‘শহীদ স্মরণিকা’ নামে একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়।