মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোডে মিডিয়া হোমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হামিদা বেগম নামে ওই নারীর দুই ছেলে।
এরা হলেন- শাহজাদপুর পৌর এলাকার মণিরামপুর এলাকার এনামুল হক ও নাজমুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, শাহজাদপুর পৌর এলাকার ১৪ শতক জমি তাদের মামা ওয়ারেছ আলীর দখলে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালে মা হামিদা বেগমকে দলিল করে দেন। সেই থেকে জমিটা পরিবারসহ তারা ভোগ করে আসছিলেন।
এ অবস্থায় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই সম্পত্তি জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এরপর সেখানে আধাপাকা ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয় পৌরসভা। পরে সেখানে তারা সেখানে মার্কেট নির্মাণের প্রস্তুতি নেন।
পরে হঠাৎ করেই এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের জামাতা মামুন রানা ওই সম্পত্তি তার নানার দাবি করে দখলের পায়তারা করতে থাকে। পরে আদালতে আবেদন করলে ওই জমির উপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এ অবস্থায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মামুন রানার সহযোগীতায় ৮/১০ জন মা হামিদা বেগমের সম্পত্তির চারপাশে টিনের বেড়া দেয়। মামুন রানা নিজে দাড়িয়ে থেকে হামিদা ও তার ছেলেদের সেখান থেকে বের করে দিয়ে ‘মামুন পোল্ট্রিফার্ম’ নামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এরপর থেকে তার নেতৃত্বে সেখানে মাদক ব্যবসাসহ অনৈতিক কাজকর্মও চলছে।
এনামুল ও নাজমুল আরও বলেন, মামুন ভুয়া দলিল তৈরির পাশাপাশি নিজের সমর্থকদের দিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা থানা পুলিশের কাছে কাছে বার বার গেলে সরুহা হয়নি। এ অবস্থায় গত ৩ মাসে ওই জমির উপর থাকা ৬/৭ লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মামুন রানা বলেন, “বিষয়টিতে কেন আমাকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। এখানে জমিজমা নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। দুটি পক্ষই আমার আত্মীয়। একপক্ষ আমার খালাতো ভাই অপরপক্ষ আমার মামাতো ভাই। আমার নামে টাঙ্গানো সাইনবোর্ডের বিষয়েও আমি কিছু জানি না।”